ওয়েব ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে ফের যুদ্ধের আশঙ্কা ঘনিয়ে এসেছে। গত শনিবার রাতে আফগান বাহিনীর হামলায় অন্তত ৫৮ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে তালেবান সরকার। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের পুনরাবৃত্তি এই অঞ্চলে আরও বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।
হামলা এবং পালটা হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তান (Pakistan) এবং আফগানিস্তান (Afghanistan)। তবে আপাতত আফগানিস্তানের তরফে সংঘর্ষ থামানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। শনিবার রাতে পাকিস্তান সীমান্তে প্রত্যাঘাত করে তালিবান নিয়ন্ত্রিত আফগান সেনা। ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১৫ জন পাক জওয়ানের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও তালিবান দাবি করছে সেই সংখ্যাটা আসলে ৫৮। শুধু তাই নয়, ডুরান্ড লাইন বরাবর কুনার এবং হেলমান্দ প্রদেশ-সহ বেশ কিছু জায়গায় থাকা পাক সেনার আউটপোস্টও দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: শান্তি ফিরল গাজায়, ফের ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদি!
গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি সেনা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আকাশপথে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। তার পরে প্রত্যাঘাত করে তালিবান বাহিনীও। এই উত্তেজনার মাঝে ভারতে সফররত তালিবান বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে কাজ না হলে অন্য পথও খোলা রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলকে আফগানিস্তান যেতে ভিসা দিতে চাইছে তালিবান সরকার। গত তিন দিনে একাধিক বার তাঁদের ভিসার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার আফগানিস্তানের হামলায় পাক সেনার ‘বিপর্যয়ে’র পরেই মুখ খুলেছে ইসলামাবাদের ‘বন্ধু’ সৌদি আরব। তারা দুই দেশকেই সংঘাতে না গিয়ে সংযম দেখানোর বার্তা দিয়েছে। জানিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা জরুরি। সদ্য স্বাক্ষরিত প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুযায়ী, পাকিস্তানের উপর হামলা হলে তার পালটা দেবে সৌদিও। তাদের বার্তা শুনে আপাতত পাকিস্তানে আক্রমণ স্থগিত রয়েছে বলে জানিয়েছে তালিবান। তবে আফগানিস্তানে হামলার কথা স্বীকার করেনি পাকিস্তান।
দেখুন খবর: